‘ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি-আ.লীগ নেতারা আবোল-তাবোল বলছে’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সরকারের এক মন্ত্রী বলে ‘তলে তলে মেনে নিয়েছে’। আরেক মন্ত্রী বলে ‘বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে’। আরেক মন্ত্রী বলে ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বামী-স্ত্রীর সর্ম্পক’। এদিকে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বিদ্যুতের জন্য ২১ জন ও সার চাওয়ার অপরাধে ১৪ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। পাঁচবারের মধ্যে চারবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে চিকিৎসার জন্য না পাঠালে সরকারের পতন করবেন। কই পতন তো হয় না! আসলে বিএনপি মহাসচিব ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ক্ষমতার জন্য আবোল-তাবোল কথা বলতেছে। আসলে এই দুইটা দল যখন ক্ষমতায় যায় তখন কিন্তু চরিত্র এক। টাকাপয়সা লুটপাটসহ সব বিষয়ে এদের চরিত্র এক।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য দলকে চায়। সে দলটা একমাত্র হতে পারে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে সারা দেশে গ্রাম বলেন, থানা বলেন জাতীয় পার্টি এগিয়ে আছে। জাতীয় পার্টির নেতা দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দেশের মানুষ এখন চায় জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচন করুক। তাই আমি মাননীয় চেয়ারম্যানকে বলব আওয়ামী লীগ-বিএনপি বুঝি না, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই।
এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর মাসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লেপটন, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান এমপি, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, জেলা জাতীয় পাটির সদস্য সচিব সাজ্জাদ পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক ও রশিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ