ডিসির স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ, অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে মামলা

খুলনা জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে চেকের মাধ্যমে সৈয়দপুর ট্রাস্টের ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত অফিস সহায়ক এম সোহেল আরমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও দুদক সূত্রে জানা গেছে, অফিস সহায়ক এম সোহেল আরমান বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে বিষয়টি ধরা পড়লে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় জিডি করা হয়। একইসঙ্গে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য দুদকে চিঠি পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার ট্রেজারার ও সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের নাজির আব্দুস শাকুর শেখকে নিয়ে মো. নাছিমুল হক গাজী ব্যাংক স্টেটমেন্টের সঙ্গে সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেট খুলনার অর্থ উত্তোলন রেজিস্ট্রার যাচাইকালে দেখা যায়, আসামি এম সোহেল আরমান খুলনা জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ৬টি চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া তিনি প্রতারণা করে জেলা প্রশাসকের প্রকৃত স্বাক্ষরিত চেকের পাতায় টাকার অঙ্কের বাম পাশে বাড়তি সংখ্যা যোগ করে আরও ৫টি চেকের মাধ্যমে ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এ পর্যন্ত তিনি ১৫ লাখ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া আসামি এম সোহেল আরমান গত চলতি বছরের ২ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টরের স্বাক্ষর জাল করে ম্যানেজার, এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি, খুলনা শাখা বরাবরে ভুয়া চিঠি তৈরি করে সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের নামে রক্ষিত স্থায়ী আমানত থেকে ২৫ লাখ টাকা তার নামীয় খুলনা সোনালী ব্যাংক পিএলসি, স্যার ইকবাল রোড শাখায় স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ জানান, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে কমিশনে চিঠি পাঠানোর পর মামলা অনুমোদন করা হয়েছে। আজ মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। আপাতত এ মামলার আসামি একজন। তদন্তে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরও আসামি করা হবে।
মোহাম্মদ মিলন/এমএএস