পরীক্ষাকক্ষে শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়, শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকক্ষে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাহব্বুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা শিক্ষার্থী মো. সাইফুল আমিন শীর্ষ আজকের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। সকালে শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি ছুটির আবেদন করে শীর্ষ। ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে বলেন, সকালে ওই শিক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে একটি দরখাস্ত দিয়ে ছুটির আবেদন করেছে। এ কারণে আজকের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি সে।
আরও পড়ুন
অপরদিকে, শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন করেছে। পরে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জেলা প্রশাসক ডা. কিসিঞ্জার চাকমা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাহব্বুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় আজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রোববার চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মো. হাফিজুর রহমান বিদ্যালয়ের ১১২নং কক্ষে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরীক্ষা চলাকালে প্রভাতি শাখার দশম শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থী মো. সাইফুল আমিন শীর্ষ অসদুপায় অবলম্বন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ সময় দায়িত্বরত শিক্ষক বাধা প্রদান করায় শিক্ষার্থী সাইফুল আমিন শীর্ষ ওই শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় দেয়। এ ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এতে নিন্দার ঝড় উঠে। ঘটনার দিন বিকেলেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান জেলা প্রশাসক ও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে এদিন রাতেই জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মোহাম্মদ মিলন/এমএএস