হাতিরঝিলের আদলে খুলনার ময়ূর নদে হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সেতু

খুলনা মহানগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারীতে নতুন আঙ্গিকে এবং দৃষ্টিনন্দনভাবে স্টিল আর্চ সেতু নির্মাণ হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ময়ূর নদের ওপর রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়।
সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহামুদ শরীফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্বোধনের সময় সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, খুলনাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেক কাজ চলমান রয়েছে। হাতিরঝিলের মডেলের সঙ্গে মিল রেখে নদীর মাঝে কোনো পিলার থাকবে না সে রকম করে ময়ূর নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হবে।
সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহনের চাপ বাড়ায় খুলনা মহানগরীর প্রবেশদ্বার ময়ূর নদের ওপর থাকা ব্রিটিশ আমলের একটি সেতুর পাশে ২০১৬ সালে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই পানির স্তর থেকে সেতুটির উচ্চতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। পাশাপাশি খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হলে দুটি সেতুই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ময়ূর নদে পাশাপাশি নতুন ও পুরোনো দুটি সেতু রয়েছে। এই দুটি সেতু ভেঙে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন দুটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রথমে পুরোনো সেতুটি ভেঙে সেখানে নতুন একটির নির্মাণ শুরু হবে। এটির কাজ শেষ হলে পাশাপাশি থাকা অপর সেতুটি ভেঙে নতুন আরেকটি নির্মাণ করা হবে। দৃষ্টিনন্দন স্টিল আর্চ ডিজাইনের সেতু দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৮ দশমিক ৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৩ দশমিক ৭০ মিটার। সেতু দুটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। নদীর পানির সীমা থেকে সেতুর উচ্চতা হবে ৫ মিটার।
জেডএস