মাছ চুরি রুখতে পুকুরপাড়ে বৈদ্যুতিক তার, প্রাণ গেল মালিকসহ যুবকের
পাবনার চাটমোহরে ঘাস কাটতে গিয়ে পুকুরপাড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে শামীম হোসেন (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে একইভাবে প্রাণ গেছে পুকুরের মালিক মৎস্য ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলামের (৪৫)।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামে মৃত্যু হয় হামিদুলের। এর আগের দিন শুক্রবার মারা যান শামীম।
নিহত হামিদুল চাটমোহর উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে। আর শামীম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার জামতৈল গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি চাটমোহরের একই ইউনিয়নের কৈনুরা গ্রামে তার নানা শাজাহান আলীর বাড়িতে থাকতেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকাল দশটার দিকে শামীম তার নানার বাড়ি থেকে বিলে ঘাস কাটার উদ্দেশে বের হয়। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
নিহত হামিদুলের স্বজনদের বরাত দিয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, হামিদুল বাড়ির পাশে পুকুরে মাছের চাষ করতেন। মাছ চুরি রোধে কৌশলে পুকুরপাড়ে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন। শামীম ওই পুকুরের পাড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে সেখানে থাকা বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। শনিবার সন্ধ্যার কিছু আগে নিজের পুকুর দেখতে গিয়ে শামীমের লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করতে যান হামিদুল। এ সময় তিনিও একইভাবে সেখানে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান।
হামিদুলের ছেলে তানজিদ হোসেন বলেন, ‘শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমি গিয়ে দেখি আব্বা পুকুরপাড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আর শামীমের লাশ পুকুরের পানিতে ভাসছে। পরে আমার চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে। আর আগামীকাল রোববার (২৪ অক্টোবর) পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাকিব হাসনাত/এমজে
