বাগেরহাটের শিকদার বাড়িতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

শারদীয় দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের পদচারণায় মুখরিত বাগেরহাটের হাকিমপুরের শিকদার বাড়ি পূজামণ্ডপ। শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে মন্দিরে ভিড় শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে ক্রমেই বাড়তে থাকে ভক্ত-দর্শনার্থীদের ভিড়। ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে আয়োজক, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে মূল মন্দির পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার সড়কসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। মন্দিরের কাছে ভিড় আরও বেশি। নির্ধারিত ফটক দিয়ে প্রবেশ করে পাঁচ শতাধিক প্রতিমা দেখে বের হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। অনেকেই প্রতিমার সঙ্গে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। পরিবার-পরিজন নিয়ে শিকদার বাড়ি মন্দিরে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে খুশি ভক্ত-দর্শনার্থীরা।

মৌসুমি দেবনাথ নামের এক দর্শনার্থী ঢাকা পোস্টেকে বলেন, দুর্গাপূজা মানেই শিকদার বাড়ি পূজামণ্ডপ। শিকদার বাড়ি পূজামণ্ডপে না এলে মনে হয় অপূর্ণতা রয়ে গেছে।
খুলনার ডুমুরিয়া থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুরতে আসা অনুপ দাস ঢাকা পোস্টেকে বলেন, গতকাল থেকে অনেক মন্দিরে ঘুরেছি। এতবেশি প্রতিমা কোথাও দেখিনি। অনেক ভালো লেগেছে। দুই ছেলে ও স্ত্রী দীপা খুব খুশি হয়েছে।
এদিকে শিকদার বাড়ির এই আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। মন্দিরের আশপাশে সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অর্ধশতাধিক দোকানি। ভক্ত-দর্শনার্থীরাও নিজের পছন্দ অনুযায়ী খাবার, খেলনা ও প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারছেন।

অন্যদিকে পূজামণ্ডপ ও ভক্ত-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। রয়েছে আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দলও।
শিকদার বাড়ি দূর্গাপূজার আয়োজক ব্যবসায়ী লিটন শিকদার ঢাকা পোস্টেকে বলেন, এবার ৫০১টি প্রতিমার মাধ্যমে আমরা সনাতন ধর্মীয় বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি তুলে ধরেছি। দর্শনার্থীরাও অনেক খুশি।

উল্লেখ্য, এ বছর বাগেরহাটের নয়টি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভার ৬৪২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের এই মহোৎসবের মূল আয়োজন শুরু হয়। নানা আচার-অনুষ্ঠান ও পূজার পর মঙ্গলবার দশমী এবং দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের শেষ হবে।
শেখ আবু তালেব/এমজেইউ