বিদ্যুৎহীন কক্সবাজারে ভোগান্তিতে পর্যটকরা

ঘূর্ণিঝড় হামুনের দুই ঘণ্টার তাণ্ডবে ২২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় কক্সবাজারে খাবার ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় তিন হাজার পর্যটক।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শহরের বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ আছে।
কক্সবাজারের কলাতলীর চন্দ্রীমা এলাকার সুলতানা আহমেদ বলেন, গতকাল থেকে পানি না থাকায় রান্না করা যাচ্ছে না। খাবার পানির সংকট। খুব অস্বস্তিকর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
কক্সবাজার শহরের শহীদ উল্লাহ বলেন, আমি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করি। বাসায় এসে গোসল করতে গিয়ে দেখি পানি শেষ। দোকান থেকে দুই বোতল পানি কিনেছি ১২০ টাকা দিয়ে। বাধ্য হয়ে পানি কিনতে হচ্ছে।
কক্সবাজার শহরের সৈকতপাড়ের গৃহিণী তপুরা আক্তার বলেন, রান্না করা যাচ্ছে না। পানি নেই। পানি না থাকায় বাচ্চাদের পোশাক পরিষ্কার করা যাচ্ছে না।
গাজীপুর থেকে আগত পর্যটক তুহেল আহমদ বলেন, সি কক্স হোটেলে উঠেছি। কাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকায় হোটেলের সার্ভিস পাচ্ছি না। সার্ভিস বন্ধ কিন্তু টাকাও ফেরত পাচ্ছি না। সৈকতে গোসলের নুনা পানি পরিষ্কারের পানি মিলছে না।
বে কুইন হোটেলের ম্যানেজার মো. এনাম বলেন, আমাদের উন্নত জেনারেটর না থাকায় পর্যটকদের টাকা ফেরত দিয়েছি। এতে অনেক ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছি। শুধু আমি নই আমার মতো অনেকেই ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ না আসলে কক্সবাজার অচল হয়ে যাবে।
বৈশাখী রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মোহাম্মদ আলম বলেন, গতকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় মটর থেকে পানি তুলতে পারছি না। খাবার পানি দেওয়া যাচ্ছে না। বোতলের কেনা পানি দিতে হচ্ছে।
কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর এমএ মনজুর বলেন, কক্সবাজার সবচেয়ে বেশি পর্যটক থাকে কলাতলী। বিদ্যুৎ না থাকায় অটোরিকশা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সুযোগে সিএনজি চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে পর্যটকদের হয়রানি করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক খুঁটি ভেঙে গেছে। সহজে যা সংস্কার করা সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পুরো টিম কাজ করছে, বাহিরের লোকও কাজ করছে।
ফরহাদ/নাঈম/আরএআর