রেললাইন থেকে যন্ত্রাংশ চুরির সময় চোর আটক

রেললাইন থেকে রেলের যন্ত্রাংশ চুরির সময় একজনকে আটক করেছে রাজবাড়ী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় তার কাছ থেকে চুরি করা ৩টি বিয়ারিং প্লেট ও ১৮টি ডক পিন উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর মিয়া মহম্মদ আল-মামু। আটক চোরের নাম মোরছালিন শেখ ওরফে মুছা (২৫)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ফকিরকান্দি গ্রামের লেবু শেখের ছেলে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর মিয়া মহম্মদ আল-মামুন জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে রাজবাড়ী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গোপালগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় নিয়মিত টহল ডিউটি পরিচালনা করছিলেন। এসময় স্টেশনের পশ্চিম পাশে রেললাইন থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করার সময় চোর চক্রের সদস্য মুছাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায় তার সহযোগী রসুল। এসময় মুছার কাছ থেকে চুরি করা ৩টি বিয়ারিং প্লেট ও ১৮টি ডক পিন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রেলওয়ে সম্পতি অবৈধ দখল ও উদ্ধার আইনের ২০১৬ সালের ৪ ধারায় রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহাকারী প্রকৌশলী মো. জিহাদ হোসেন বলেন, রেললাইনের প্রত্যেকটি যন্ত্রাংশই খুব গুরুত্বপূর্ণ। চোর এই যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়াতে বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজবাড়ী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চোরকে হাতেনাতে আটক করায় আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রেললাইন মেরামত করতে সক্ষম হই। এতে ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফরিদপুর-ভাঙ্গা রেলপথের ভাঙ্গা উপজেলার নওপাড়া এলাকায় রেললাইনের পাতের প্রায় ১ হাজার ৫০০ ক্লাম চুরির ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি আগে থেকে টের পাওয়ায় অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান ট্রেনের যাত্রীরা। এ ঘটনায় রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মীর সামসুজ্জামান/আরকে