আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ভয় পায় : মুফতি ফয়জুল করিম

আগামী ৩ নভেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে ভূমিকম্প হবে। তাতে শেখ হাসিনার মসনদ ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় না। এবার ভোটের অধিকার দিতে না পারলে এ দেশের মানুষ যার যা আছে তাই নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চায় না, কারণ ওরা জনগণের ভোটে ভয় পায়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ইসলামী আন্দোলন রংপুর জেলা ও মহানগর আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির প্রবর্তন ও বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবিতে এ সমাবেশ করা হয়।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, বাকশাল করে মানুষের অধিকার লুণ্ঠিত করেছিল আওয়ামী লীগ। বাকশাল করে রাজনীতি, সংবাদপত্রসহ মানুষের মুখ বন্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ। সিরাজ সিকদারকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে প্রথম হত্যাকাণ্ডের শুরু করেছিল এই আওয়ামী লীগ।
ছাত্রলীগের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ মানে আতঙ্ক। ছাত্রলীগ মানে বিশাল গুন্ডাবাহিনী, ধর্ষণের সেঞ্চুরি করা, টাকা পাচার করা। ছাত্রলীগ এখন মহা আতঙ্কের নাম।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, দেশের এমন নাজুক অর্থনীতি, রিজার্ভের এমন অবস্থার পরেও যারা ভোটকেন্দ্রে ডিউটি করবে তাদের জন্য ৩০০ কোটি টাকার নতুন গাড়ি কেনা হবে। কারণ তারা ভোট ডাকাতি করবে। প্রত্যেকটা মানুষের মাথার ওপর ঋণ আছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। যেখানে মানুষ এত দরিদ্র সেখানে জয়কে বেতন দিতে হবে ১ কোটি টাকার ওপরে। যেহেতু জয় রাষ্ট্রের মানুষের টাকায় বেতন নেয় সুতরাং তিনি কোথায় আছে সেটা জানার অধিকার এ দেশের মানুষের আছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ভয় পায় ভোটকে। তারা চৌকিদারি করতে গেলেও প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। ২০১৮ সালে বলেছিল নির্বাচন সুষ্ঠু হবে নিরপেক্ষ হবে আমরা এসেছিলাম, বিএনপিও এসেছিল। কিন্তু তারা আগের নির্বাচনে যেমন দিনের বেলা ভোট ডাকাতি করেছিল ২০১৮ সালেও রাতে ভোট চুরি করে। আওয়ামী লীগ মানে মিথ্যুক, এদের বিশ্বাস করা যায় না।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের রংপুর মহানগরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান কাসেমীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও রংপুর জেলা সভাপতি মাহমুদুর রহমান রিপন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও রংপুর মহানগরের সেক্রেটারি আমিরুজ্জামান পিয়াল প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলনের রংপুর জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য দেন। সমাবেশে রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর