নাটোরে প্রতারণার মামলায় অধ্যক্ষ কারাগারে
২০ লাখ টাকার প্রতারণার মামলায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলমের আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বুধবার (১৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে আদালতে শুনানির জন্য বিচারক তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে নাটোর শহরের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাটোর সদরের সাধুপাড়ার আয়েজ উদ্দীনের ছেলে মোজ্জাম্মেল হক কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কলেজের উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষ তার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নগদ ১৩ লাখ টাকা দেওয়ার পর তাকে কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এমপিওভুক্তির সময় অধ্যক্ষ আরও সাত লাখ টাকা নেন। কিন্তু এরপরও তার বেতন-ভাতার জন্য অধ্যক্ষ এমপিওভুক্তির কাগজপত্র স্বাক্ষর করে জমা দেননি। এ ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর টাকা ফেরত চাইলে অধ্যক্ষ ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। পরে গত ৯ নভেম্বর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন মোজ্জাম্মেল হক।
এদিকে অধ্যক্ষ ও একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষের স্ত্রী বাদী হয়ে মোজ্জাম্মেল হকের বিরুদ্ধেও হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা দায়ের করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের অন্য শিক্ষকরা জানান, অধ্যক্ষ আগেই প্রতিষ্ঠানটিতে তার নিজের স্ত্রী ও ভায়রা ভাইকে (স্ত্রীর বোনের স্বামী) শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এবার মোজ্জাম্মেল হকের পদে অধ্যক্ষ তার শ্যালিকাকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টার জন্যই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ
