হাসপাতালের স্টাফের শিশুকে অপহরণের সময় যুবক আটক

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৫ মাস বয়সী এক শিশুকে অপহরণের সময় মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (১৫ নভেম্বর) হাসপাতালের ইসিজি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এদিন ইসিজি বিভাগে কর্মরত সুমাইয়া আক্তার নামে এক নারী তার ৫ মাস বয়সী পুত্র সন্তান আবু কাবসা সুনায়েনকে সঙ্গে নিয়ে ডিউটিতে আসেন। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শিশুটিকে অপহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চার চিৎকার শুনে ইমার্জেন্সি বিভাগের স্টাফ ও সাধারণ জনতা বাধা দেয়। এ সময় মেহেদী হাসপাতালে চেয়ার টেবিল ও রিসেপশনের গ্লাস ভাঙচুর করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাধারণ জনতা তাকে আটকে ফেলে। পরে থানায় জানালে পুলিশ অপহরণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, আজকে সকাল ১১টার সময় অভিযুক্ত মেহেদী হাসান তার বাবাসহ হাসপাতালে আসে। এরপর সে একটি বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চায়। ঠিক সেই সময়ে তাকে যখন আটক করার চেষ্টা করা হয় তখন সে অফিস ভাঙচুর করে। অভিযুক্ত মেহেদীর বাবা বলেছেন, আমি এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছিলাম আমার ছেলেকে নিয়ে। আমার ছেলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেই জন্য সে এই কাজটা করেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন আসে যে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একটি বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় সেখানকার স্থানীয়রা তাকে আটক করে। আমরা পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে তাকে থানা নিয়ে আসে, কোর্টে চালান চালান করে দেই। তবে জানতে পেরেছি, তিনি মানসিক রোগী বা নেশাগ্রস্ত।
আরিফ হাসান/আরকে