ঘূর্ণিঝড় মিধিলি : সোনাগাজী উপকূলে প্রস্তুত ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কায় ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। চার ইউনিয়ন, বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য ৪৪টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র (সাইক্লোন শেল্টার), ১২টি মেডিকেল টিম এবং ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউএনও।
ইউএনও জানান, আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির জন্য বিশুদ্ধকরণ ৪ হাজার ট্যাবলেট রয়েছে। এছাড়া খাবারের বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ফেনীতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। সংকেত অনুযায়ী উপকূল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং শুরু করবে।
পরিস্থিতি অনুযায়ী রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি সদস্যদের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
সোনাগাজী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, উপকূলে মাছ ধরার নৌকা ও জেলেদের তীরবর্তী স্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে ফেনীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
তারেক চৌধুরী/এসএম