বিক্রয়কর্মীর টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে হত্যা

নওগাঁয় প্রাণ কোম্পানির এক বিক্রয়কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার বক্তারপুর এলাকায় মামুনুর রশিদ মামুন (৪২) ওই বিক্রয়কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মামুন সদর উপজেলার মাতাসাগর ফতেপুর গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে। তিনি নওগাঁ জেলায় প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির ডেলিভারি সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (ডিএসআর) পদে চাকুরি করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেলে সদর ও বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পণ্য সরবরাহ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে নওগাঁ শহরে কোম্পানির কার্যালয়ে ফিরছিলেন মামুন। পথিমধ্যে সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের চাকলা এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পথরোধ করে তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মামুনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে মামুনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয়রা তাকে নওগাঁ জেনারেল ভর্তি করেন। সেখানে সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনের মৃত্যু হয়।
২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিব হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত ওই রোগীকে কিছু লোকজন সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়েছেন। তার দুই হাত, বুক ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফুসফুসে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারণ উল্লেখ করা হবে।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পাওয়ার পরই নওগাঁ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি ঊর্ধ্বতন দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরমান হোসেন রুমন/এমএএস