রাজশাহীর ছয় আসনে নৌকার প্রার্থী হতে চান যারা

নৌকার প্রার্থী হতে রাজশাহীর ছয়টি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন ৪১ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজশাহীর ছয়টি আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে চারজন নারী প্রার্থী।
জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন রাজশাহী-৫ আসন থেকে। এই আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন ১১ জন নেতানেত্রী। এর পরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী-১ আসন। এই আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে সাত জন।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী ছাড়াও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন। এই আসনে রয়েছেন, মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী, আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আখতার, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি সদস্য আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ তাজবুল ইসলাম।
রাজশাহী-২ (সদর) আসন রয়েছে সংরক্ষিত আসনের এমপি আবিদা আঞ্জুম মিতা, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহসভাপতি ডা. তবিবুর রহমান, সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, নগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমপি আয়েন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা মহিলা লীগের সহ সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রোকসানা মেহেবুব চপলা।
অপরদিকে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ছাড়াও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পিএম শফিকুল ইসলাম।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মুনসুর রহমান এবং সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম বাচ্চু হিরা, দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, সাবেক এমপি প্রয়াত তাজুল ইসলাম মো. ফারুকের মেয়ে তানজিমা শারমীন মুনি, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওবাইদুর রহমান, অ্যাডভোকেট গোলাম রাব্বানী ও অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট রায়হান কাওসার।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এছাড়াও সাবেক এমপি রায়হানুল হক রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন।
প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।
শাহিনুল আশিক/আরকে