সেই খাদ্য কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ বরখাস্ত

সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত ও পরে জব্দকৃত আলামত নষ্ট করার অভিযোগে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তাকে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারীর একটি চিঠি গতকাল বুধবার (২২ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওই চিঠি বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা চাল ও এগারো শ খালি চালের বস্তা অবৈধভাবে মজুত রাখার দায়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বাসভবনটি সিলগালা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় সেই সিলগালা বাসভবনের জানালার গ্রিল কেটে মালামাল সরানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ইকবাল মাহমুদ।
এ ঘটনায় ইকবাল মাহমুদকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়। এবার তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।
এসব ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতে ১৩ নভেম্বর (সোমবার) ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এতে সদস্য করা হয় ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও জাজিরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেলিম আহমদকে।
তদন্তকালীন সময়ে খাদ্য গুদামে ১৮ টন চালের ঘাটতি দেখা দিলে ১৪ নভেম্বর ১০ টন চাল ও ১৫ নভেম্বর ৮ টন চাল ট্রাকে করে বাইরে থেকে এনে তিন তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই তাদেরকে চালের হিসেব বুঝিয়ে দেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ওই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভেদরগঞ্জের খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে যে-সব অভিযোগ উঠে তা তদন্ত করা হয়েছে। তিনি সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম সাইফ রুদাদ/এএএ