স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন আ.লীগ নেতা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকছেদুল মোমিন। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে পদত্যাগ করার বিষয়টি তিনি নিজেই ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
মোকছেদুল মোমিন বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আমার পদত্যাগপত্রটি জমা দিয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নীলফামারী-৪ আসনে নির্বাচন করব এবং এ নির্বাচন জয়লাভও করব ইনশাআল্লাহ।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মোকছেদুল মোমিন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এজন্য নীলফামারী-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। তবে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারী-৪ আসনে রাজনৈতিক বা সমাজসেবকদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব মোকছেদুল মোমিন। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে তার রাজনীতির হাতে খড়ি। রেলওয়ে কারখানা শাখা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৭ সালে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোকছেদুল মোমিন। এরপর ২০১৯ সালে আবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
মোকছেদুল মোমিনের সমর্থকেরা জানান, তিনি একজন ব্যতিক্রমী নেতা ও সমাজসেবক। করোনাকালে তিনি এর প্রমাণ দিয়েছেন। তখন জীবন বাজি রেখে করোনায় আক্রান্তদের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। গরিব-দুঃখীদের পাশে থাকায় ভালো ইমেজ তৈরি হয়েছে তার।
মোকছেদুল মোমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের মসজিদ ও মাদরাসার উন্নয়ন, কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা, অসুস্থদের চিকিৎসা ও দায়গ্রস্ত কন্যাদের বিয়ের পাশাপাশি সব বিষয়েই সাহায্য ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। বাকি জীবন জনগণের সেবা করেই মরতে চাই।
তিনি আরও বলেন, জনগণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিল। এ নির্বাচনেও প্রায় ৯০ ভাগ ভোটারের সমর্থন পাব এটা আমার বিশ্বাস। সৈয়দপুরের প্রায় ২০-২৫ বছর থেকে উন্নয়নের কাজ করে আসছি। এ উপজেলার গ্রামগঞ্জ ও শহরের প্রায় ৫০ শতাংশ মসজিদ-মাদ্রাসায় আর্থিক সাহায্য করেছি। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছি। যুবকরা যাতে মাদকে আকৃষ্ট না হয় সেজন্য খেলাধুলার আয়োজন করেছি।
শরিফুল ইসলাম/আরএআর
