বেনাপোল বন্দরে পণ্যজটের আশঙ্কা
পহেলা বৈশাখ আর সাপ্তাহিক ছুটিতে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে দুদিন আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্যজটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে এ পথে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে সচল থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান দুই দিন বাণিজ্য বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এ পথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ১৫ এপ্রিল বাণিজ্যিক কার্যক্রম চললেও আবার শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটিতে ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে না। ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে পুনরায় স্বাভাবিক নিয়মে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল হবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র জানান, প্রতি পহেলা বৈশাখে ভারতের ব্যবসায়ীরা বর্ষবরণ পালন করেন। এদিন ছুটি কাটাতে বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। বিষয়টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এ সময় শর্ত মেনে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহের ৭ দিন খোলা থাকে। তবে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে সাধারণ এ পথে আমদানি-রফতানি হয় না। বন্ধের মধ্যেও বন্দরে সব ধরনের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
এদিকে দুদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্যজটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে থাকে।
বেনাপোল বন্দর থেকেও প্রায় ১৫০ ট্রাক বাংলাদেশি রফতানি পণ্য নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যায়। একদিন আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলে সরকার প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়।
এমএসআর