রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

রাজশাহীতে আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি বিভাগের এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে তাপমাত্রা কমায় নগরীর দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে শীতের পোশাকের।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে গেল দুইদিন ধরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে বিরাজ করছিল। গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি কমলে শীত বেশি অনুভূত হয়। ধারণা করা হচ্ছে এখন তাপমাত্রা কমার দিকে যাবে। তবে গত বৃহস্পতিবারের পরে আজ রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি রাজশাহীতে। এটি চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
অপরদিকে, তাপমাত্রা কমায় নগরীতে ফুটপাত ও অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি ছিল। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রেতারা শীতের পোশাকের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
নগরীর দোকানগুলোতে বাহারি রঙ ও ডিজাইনের শীতের পোশাক দেখা যাচ্ছে। থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন সাইজ ও মানের জ্যাকেট, সোয়েটার, ব্লেজার, হুডি, মেগি হাতা জ্যাকেট, মোটা কাপড়ের টি-শার্ট, মাফলার, কানটুপিসহ হরেক রকমের শীতবস্ত্র। তবে ফুটপাতগুলোতে হুডি, সোয়েটার, জ্যাকেট মোটা কাপড়ের টি-শার্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে।
শীতের কাপড় কিনতে আসা আসমা জাহান বলেন, বাড়িতে আমার দুই শিশু রয়েছে। শীতে তাদের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। নতুবা অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি হিসেবে শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে বিক্রেতারা দাম বেশি বলছে।
শীতের কাপড় বিক্রেতা জনি বলেন, বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির পড়ে শুক্রবার শীতের কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে জ্যাকেট ও হুডি। সামনে শীত আরও বাড়তে পারে। তাই আশা করছি শীতের পোশাকের চাহিদা আরও বাড়বে।
শাহিনুল আশিক/এএএ