কিশোরগঞ্জে কে কোন প্রতীকে লড়বেন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ সময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রতীক বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীদের অনেকে নিজেরা উপস্থিত থেকে প্রতীক গ্রহণ করেন। অনেকে আবার তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতীক নেন। বেলা ১টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচ জন, জাতীয় পার্টির পাঁচ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের দুই জন, ইসলামী ঐক্যজোটের দুই জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের তিন জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির পাঁচ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এর একজন, গণফ্রন্টের একজন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের তিন জন, তৃণমূল বিএনপির একজন ও স্বতন্ত্র নয় জন,বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-বিএসপির একজন।
কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর): আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম (ঈগল),বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল আউয়াল (ছড়ি) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (আম),বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোবারক হোসেন (ডাব), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হাই (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আশরাফ উদ্দিন (মিনার)।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া): আওয়ামী লীগ মনোনীত আবদুল কাহার আকন্দ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন (ঈগল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন (ট্রাক), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এর মো. বিল্লাল হোসেন (টেলিভিশন) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির আলেয়া (আম), গণফ্রন্টের মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম (মাছ)।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল): জাতীয় পার্টি মনোনীত অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ মাহফুজুল হক হায়দার (ঈগল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (আম), স্বতন্ত্র মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক (কাঁচি) ও স্বতন্ত্র রুবেল মিয়া (ট্রাক),স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. গোলাম কবির (কেটলি), ইসলামী ঐক্যজোটের ওমর ফারুক (মিনার)।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম): আওয়ামী লীগ মনোনীত রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (নৌকা), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী আ. মজিদ (ডাব), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. শরীফুল আহসান (গামছা) ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. নছিম খাঁন (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির মো. জয়নাল আবদিন (আম), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব (লাঙ্গল)।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী): আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আফজাল হোসেন (নৌকা),জাতীয় পার্টির মো. মাহবুবুল আলম (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পাল (ঈগল) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. রবিন মিঞা (ছড়ি),বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইমদাদুল হক (মোমবাতি), তৃণমূল বিএনপির মো. সোহরাব হোসেন (সোনালি আঁশ)।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর): আওয়ামী লীগ মনোনীত নাজমুল হাসান পাপন (নৌকা),জাতীয় পার্টির নূরুল কাদের সোহেল (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির তারেক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (আম) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোহাম্মদ আয়ুব হোসেন (ছড়ি),স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার (ঈগল), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-বিএসপির প্রার্থী হেলাল উদ্দিন (একতারা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. রুবেল হোসেন (মোমবাতি)।
প্রতীক বরাদ্দ শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী, স্বতন্ত্র থেকে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেওয়া কিশোরগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন ঈগল পাখি মার্কা পেয়ে বেশ আনন্দিত।
তিনি বলেন, আমি আমার এলাকার বেশ উন্নয়ন করেছি। বর্তমানে আমার নির্বাচনে কোনো চাপ নেই। বিগত দিনে আমার ক্ষমতাকালীন সময়ে এলাকার উন্নয়ন, শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের সাথে ভাল ব্যবহার সবই বিদ্যমান ছিল। যার জন্য জনগণের সমর্থনে আমি নির্বাচনে এগিয়ে এসেছি। জনগণ রায়ে নির্বাচিত হলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো।
কিশোরগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ কার্যক্রম বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এমজে