প্রিসাইডিং অফিসার হুকুম দিলে পুলিশ গুলি করতে পারবে : ফেনীর এসপি
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেছেন, ব্যালট রক্ষার জন্য প্রয়োজনে গুলি করারও একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে। কোনো ব্যালট বা ভোটের সরঞ্জাম যদি রক্ষা করতে হয় বা কোনো দুষ্কৃতকারী যদি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া ওখানকার (ভোটকেন্দ্রের) প্রিসাইডিং অফিসার নির্দেশনা বা হুকুম দিলে পুলিশ গুলি করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞা বাজারের জিরো পয়েন্টে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ভোটারদের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, এবার আমাদের ওপরও কড়া নির্দেশনা রয়েছে। যদি কেউ ভোট বানচালের চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এতখানিই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটির উদ্দেশ্য একটাই, ৭ জানুয়ারি যে ভোট হবে তা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে।
সাংবাদিকেরও গোপন বুথে প্রবেশের সুযোগ নেই উল্লেখ করে পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছে তা যেন কোনোভাবেই বাইরে প্রকাশ না হয় সেজন্য নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগেই বলা হয়েছে। গোপন বুথে কারও যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন কমিশন কড়া করে বলেছেন কোনো সাংবাদিকেরও গোপন বুথে প্রবেশের সুযোগ নেই। আপনি নিজে যদি কোনো প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তা প্রকাশ না করেন তাহলে এটি বাইরে প্রকাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, এবার বলা হয়েছে যে, ভোটকক্ষে প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার কারও হাতে মোবাইল ফোন থাকবে না। ভোটারদেরও মোবাইল ফোন নিতে না করা হয়েছে। কারণ অনেক ভোটার ভোট দিয়ে ছবি তুলে তা বাইরে প্রকাশ করে। তখন সে নিজের বিপদ নিজে তৈরি করে। মোবাইল ফোন না থাকলে সেটি বাইরে আসার সুযোগ নেই। এবার এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে অনেক কড়াকড়ি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আগে ভোটার আইডি কার্ড লাগলেও এবার শুধু ছবি আর নম্বর মিলে গেলেই ভোট দেওয়া যাবে। এবার ভোট দেওয়ার সময় ব্যালটের পেছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সিল আছে কিনা সেটি চেক (যাচাই) করে দেবেন। কারণ স্বাক্ষর না থাকলে ভোট বাতিল হতে পারে। ভোটারদের সুরক্ষা এবং ভোট যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ওপরও কড়া নির্দেশনা রয়েছে, যদি কেউ ভোট বানচালের চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বক্তব্যে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ফেনী-৩ আসনে এবার ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা যেন আচরণবিধি মেনে প্রচার প্রচারণা করে এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারে সেজন্য আমরা এই উদ্বুদ্ধকরণ সভা করছি।
জেলা তথ্য অফিসার রাশেদুল হকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এ সময় দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা, দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম উপস্থিত ছিলেন।
তারেক চৌধুরী/এমএএস