স্বতন্ত্র বা লাঙলের প্রার্থীকে ভোট দিলে ভোটটা নষ্ট হবে : নয়ন

স্বতন্ত্র বা লাঙল প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দিলে ভোটটা নষ্ট হবে মন্তব্য করেছেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রায়পুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার নির্বাচনী সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নয়ন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নেই। এ জন্য ধানের শীষের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। এবার যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, সেখানে সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা। যারা ভোট বোঝে, ভোট সচেতন তারা সবাই জানে। এখানে বিরোধী দলের নেতা হবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ক্ষমতায় যাবে নৌকা, বিরোধী দলে থাকবে লাঙল।
তিনি আরও আরও বলেন, নৌকায় যদি আপনারা ভোটটা দেন আপনাদের বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা বাড়বে। ১০ কেজি চালের কার্ড বাড়বে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন বেশি হবে। মসজিদ-মাদরাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বেশি হবে। যদি নৌকা বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ভোট দেন তাহলে তারা আপনাদের কোনো উন্নয়ন কাজ করতে পারবে না। কারণ স্বতন্ত্র অথবা লাঙল সরকারে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যেহেতু সারাদেশে তাদের ওই রকম ভোট নেই। স্বতন্ত্র মার্কা থেকে প্রধানমন্ত্রী হবে না, কোনো মন্ত্রীও হবে না। লাঙল মার্কায় প্রধানমন্ত্রী হবে না। লাঙল মার্কার কোনো মন্ত্রীও হবে না। তাহলে আপনারা স্বতন্ত্র এবং লাঙলে ভোটটা দিলে আপনাদের ভোটটা নষ্ট হবে। অর্থাৎ এখানে এমপি থাকা আর না থাকা হবে সমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট ও রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের আহহ্বাক কাজী জামশেদ কবীর বাকী বিল্লাহ।
নয়ন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ২১ জুনের উপনির্বাচনে নয়ন নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নৌকায় ভোট চেয়ে নয়ন বলেন, কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী এসে রায়পুর সরকারি কলেজের ৬ তলা ভবন উদ্বোধন করেছেন। আলিয়া মাদরাসায় ৪ তলা ভবন উদ্বোধন করেছেন। সেখানে নৌকার এমপিকেই দেখেছেন সবাই। স্বতন্ত্র বা লাঙলের এমপিকে দেখেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন রায়পুর থানাকে মডেল থানায় উন্নীত করার জন্য। সেখানেও আপনারা স্বতন্ত্র কিংবা লাঙল মার্কার কোনো এমপিকে দেখেননি। গ্রামের ভাষায় একটি কথা আছে ‘ছাগলের ছা যদি তিনটা বিয়ায়, দুধ খায় দুইটা। বাকি একটা উলালে নাচে, দুধ খাইতে পারে না’। দেশে ভোট হচ্ছে নৌকা আর লাঙলের। দুধ খাইবো নৌকা। পরে যদি কিছু থাকে খাবে লাঙলে। এক পার্টি যাবে ক্ষমতায়, আরেক পার্টি বিরোধী দলীয় নেতা হবে। স্বতন্ত্ররা কি এদেশে প্রধানমন্ত্রী হবে? দেশের কোনো মন্ত্রীও হবে না। এরা নিজেরাই দুধ খাইতে পারবে না, আমাদের কী খাওয়াবে। দুধ যদি খাইতে চান, তাহলে মার্কা নৌকা।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের সঙ্গে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে নয়নের স্ত্রী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনাও (তরমুজ) স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে তার কোনো প্রচার-প্রচারণা দেখা যায়নি। অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ (ট্রাক), সেলিনা ইসলাম (ঈগল), জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন আহমেদ (লাঙ্গল), জাসদের মো. আমীর হোসেন (মশাল), তৃণমূল বিএনপির আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মো. মনসুর রহমান (ডাব), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোরশেদুঁআলম (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম (মোমবাতি), মুক্তিজোটের মো. ইমাম উদ্দিন সুমন (ছড়ি) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ফরহাদ মিয়া (হাত ঘড়ি)।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর