বিএনপির দু-চারজন থাকলে অচিরেই নৌকায় উঠো : শাহজাহান ওমর
এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর। সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজাপুর উপজেলার ১নং সাতুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বলেন, এখনো কি এখানে বিএনপি আছে? আছে নাকি দু-একটা। যদি থেকে থাকো, থাকতেই পারো। রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকতেই পারে। সব কথার এক কথা তোমাদের বিএনপি বানাইলো কে? তোমাদের ওস্তাদ কে? ওস্তাদ যখন বুদ্ধিমত্তা বিবেচনা করে নৌকায় উঠেছে। তোমাদের আর কোনো ভাবনা, বিচার বিবেচনা আছে? যদি দু-চারজন থেকে থাকো অচিরেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ সাহেবের হাত ধরে নৌকায় উঠো। সকলে মিলে মিশে নৌকার পক্ষে কাজ করো। আমি এই অঞ্চলে নৌকার দুর্গ গড়ে তুলব।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা চাচ্ছে নির্বাচনে যেন ভোট কম কাস্ট হয়। ৫০ ভাগের ৫১ ভাগ পেলেইতো সে জিতে নাকি। এখন যেহেতু অন্য দল নেই, ২ ভোট পাইলেও আপনি জিতে গেলেন। বাকি ৪৯ ভোট লাগে না। তখন এই কুচত্রুী মহল, স্বার্থান্বেষী বিদেশি মহল বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচার করবে যে, বাংলাদেশে ভোট হয় নাই। ৫, ১০ বা ২০ ভাগ ভোট হয়েছে, এই নির্বাচন অবৈধ। এটাকে যদি বৈধতা দিতে চান তাহলে একটাই সমাধান এখানে যদি ৬০ ভাগ ভোট জনগণ দেয় তাহলে নেত্রী বলতে পারবেন দু-একটি দল নির্বাচনে আসে নাই, জনগণতো আসছে। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। কাজেই ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভোট দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে শাহজাহান ওমর বলেন, কেউ যেন একাধিক ভোট দেওয়ার চিন্তাও না করে। কারণ আপনাদের এই সংসদীয় এলাকায় শকুনের মতো তাকিয়ে আছে অনেক ষড়যন্ত্রকারী, অনেক সাংবাদিক, অনেক পর্যেবেক্ষক, আপনারা টেরও পাবেন না। তারা যদি একটি ছবি তুলে রিপোর্ট করে যে আপনি জাল ভোট দিতেছেন, এইটা কিন্তু ব্যাপকতা ধারণ করবে। এই রকম যারা মনে করেন লোক আসুক বা না আসুক সিল মেরেই পাস করে যাব, তারা কিন্তু শেখ হাসিনার চরম শত্রু। আমি আপনাদের সেবক বা ভাই হিসেবে অনুরোধ করতে চাই- আপনারা সবাই ভোটে আসবেন। শুধু আপনারা না স্ত্রী, মেয়ে বা অন্য যারা ভোটার আছে তাদের আনতে হবে। একটা দিনে একটা সিল আমাকে উপহার দান করুন, আমি ৫ বছর আপনাদের সেবা করব।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.এইচ.এম খায়রুল আলম সরফরাজ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু, ওয়ার্কার্স পার্টির আবুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন মৃধা ও সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাঈনুল হায়দার নিপু।
সভায় সভাপিতত্ব করেন সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সোবাহান খান। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
আরএআর