বাবার পক্ষে ভোট চাইলেন নিক্সনের মেয়ে

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের মেয়ে নাজোরা মুজিব চৌধুরী (১৯) বাবার পক্ষে ঈগল প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামে পূর্ব সদরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নিক্সনের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে তিনি বক্তব্য দেন।
নাজোরা মুজিব চৌধুরী বলেন, আমি সামনাসামনি দেখবো বলে আপনাদের কাছে এসেছি যে আমার বাবা এলাকায় কত কাজ করেছেন এবং বাবাকে আপনারা কত ভালোবাসেন। আমার বিশ্বাস আপনারা আবারও তাকে নির্বাচিত করবেন।
তিনি বলেন, আসলে বাবা ১০ বছরে যে উন্নয়ন করেছেন, যে পরিশ্রম করেছেন। তিনি আমার থেকে রাতে কম ঘুমান। এটা আমার বিশ্বাস হয় না। শুধু তিনি না আমি এবার এসে বুঝেছি আপনারা তার নেতাকর্মীরা তাকে কত ভালোবাসেন।
নাজোরা বলেন, বাবা কখনো মেয়েছেলের মধ্যে বিভেদ করেন নাই। জীবনেও না। এটা আমার দাদা ভাইও করেন নাই। আমাদের পরিবারে আসলে ছেলেমেয়ে কোনো বিভেদ নাই। আমরা সবাই একসাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন গড়ে তুলবো, এটাই আমাদের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আসলে খুব ছোট। মাত্র ৫০ বছর হয়েছে। এজন্য আমাদের অনেক উন্নয়ন বাকি, আমাদের অনেক এগিয়ে যেতে হবে। অন্যান্য দেশের সাথে পা মিলিয়ে চলতে হবে, পাশাপাশি চলতে হবে। এর মধ্যে আপনাদের একটা থানা ছিল, যেটা খুব অবহেলিত ছিল। আগে ছোটবেলায় দেখে আমার একটু মরুভূমি মরুভূমি মনে হইতো। এটা একটা অন্যায়। যাকে যেটা দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় সেটা তার পালন করতে হয়। পালন করতে পারেন নাই একজন, আমার বাবা দায়িত্ব পেয়েছেন। আপনারা তাকে না দেখে ভোট দিয়েছেন।
নাজোরা বলেন, আমার মনে আছে বাবা একদিন হঠাৎ করে উঠে এসে ২৭ দিনে এমপি হয়ে গেল। তখন আসলে কথাটা বুঝতাম না। বুঝ কম ছিল। কিন্তু এখন আমি বুঝেছি ১০ বছর তিনি যে পরিশ্রম করেছেন, তিনি এইখানেই থাকেন। কারণ তাকে আপনারা অনেক ভালোবাসেন। খুব ভালোবাসেন।
তিনি বলেন, আমার দুখ ছিল না কখনো। কারণ সে বাসায় থাকে না। ছোটবেলায় যদি কখনো চিন্তা করতাম, তখন চিন্তা করতাম যে তিনি মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি যদি পাঁচ মিনিট আমার সাথে কম কথা বলেন পাঁচজনকে সাহায্য করতে পারছেন। আমার দাদা ভাইও এ রকম ছিলেন।
নাজোরা বলেন, এবার এসে ভালো লাগছে। আপনারা খুব শক্তিশালী। বাবা যত শক্তিশালী আপনারাও তত শক্তিশালী। আমাদের যদি যুদ্ধে যাইতে হয় মনে হয় ভাঙ্গার মানুষরা আগে চলে যাবে। ব্যক্তি দেখে আসলে ভোট দিতে হয়। এছাড়া অনেক রাজাকাররা যদি চলে যায় সংসদে তাদের বিরুদ্ধে তো আমাদের যুদ্ধেও যেতে হবে। আমি এসেছি বলে নৌকার মানুষও দেখি একটু হাসি দেয়। সবারই একটা স্বপ্ন হওয়া উচিত দেশকে গড়ে তোলা।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এবং ওই এলাকার বাসিন্দা জাহিদ শিকদার।
জহির হোসেন/আরএআর