২০২৩ সালে ঝিনাইদহে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৯ জন
ঝিনাইদহে বিদায়ী বছরে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৯ জন। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। এসব দুর্ঘটনার প্রত্যেকটি ছিল এক একটি পরিবারের জন্য শোকের। এসব দুর্ঘটনায় অনেকেই তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী বছরে ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় নিহতের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৬ জন, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৪, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৮, মহেশপুরে উপজেলায় ১৫, শৈলকুপায় উপজেলায় ২০ ও কোটচাঁদপুরে উপজেলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলার সব চেয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কোটচাঁদপুরে। একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় সে দুর্ঘটনায়।
এ ছাড়া একাধিক মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে অনেক। জেলার সদর উপজেলার কয়ারগাছি স্থানে আব্দুর রাকিব ও শাকিল, কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে স্ত্রীকে ডাক্তারের নিকট যাওয়ার পথে সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের ছাবদার হোসেন ও স্ত্রী পারভিনা খাতুন নিহত হন। সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামে ইমন ও আজিম, হাটগোপালপুরে নাজমুল ও নিপুন শেখ, শৈলকুপার গাড়াগঞ্জে খোকন ও মহাদেব কুমার, মহেশপুরের ভৈরবায় ইমরান ও নাজিবুর, সদর উপজেলার আটলিয়া গ্রামে ট্রাক চাপায় রিংকী খাতুন ও সাজেদুল ইসলাম নিহত হন। কালীগঞ্জের পিরোজপুর বটতলায় আবুল কালাম, শরীফা খাতুন ও অরো দাস এবং একই উপজেলার বেজপাড়া নামক স্থানে উজ্জল শেখ ও আমানুর রহমান নিহত হন।
এ প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের বিষয়ে শুধু ঝিনাইদহে বন্ধ হলে হবে না। সারা দেশেই অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। এ জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তারপরও আমরা সড়কগুলো অবৈধ যানমুক্ত করতে কাজ করছি।
ঝিনাইদহ বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তার দপ্তর প্রতি মাসেই চালকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এ ছাড়া তারা অবৈধ যানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/এএএ