নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিবের ওপর হামলা, আহত ৬
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ঈগল) নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল হক মিজান, ৩ সংবাদকর্মীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের নির্বাচনী এলাকার ইছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোন্দড়া ভোটকেন্দ্রের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত মিজান রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব। আহত অন্যরা হলেন, স্থানীয় সংবাদকর্মী মিজানুর শামীম, হাসানুর জামান, ইকবাল খন্দকার শান্ত, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও গাড়িচালক লোকমান হোসেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় শামছুল হক মিজানসহ অন্যরা ভোটকেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় কথিত যুবলীগ নেতা জাকির ওরফে হাজি জাকির দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে মিজানের ব্যক্তিগত গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। জাকির নৌকার প্রার্থী আনোয়ার খানের অনুসারি হিসেবে পরিচিত।
আহত শামছুল হক মিজান বলেন, হামলায় নেতৃত্বদানকারী জাকির সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের নিয়ে জাকির আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমরা রক্তাক্ত হই। আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি, মামলা করব।
বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করনেনি।
রামগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মিজান হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। তবে বিকেল পর্যন্ত তিনি থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকে রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আনোয়ার হোসেন খান ও পবন ছাড়াও এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির মাহামুদুর রহমান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিয়াজ মাখলুম ফারুকী (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশাররফ হোসেন (আম), স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ গোফরান (কেটলি)।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে