‘এলা শীতটা এই কম্বল দিয়া ভালোই কাটবে’
মাঘ মাসের শুরু হতে আরও বাকি তিন দিন। বরাবরই মাঘের শীতে কাঁপুনি বাড়ে। কিন্তু এবার পৌষের ক্রান্তিলগ্নেই হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় চরম বিপাকে এ অঞ্চলের শীতার্ত মানুষ। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষদের দুর্দশাও বেড়েছে। এসব শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে এসেছে র্যাব-১৩।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক হাজার শীতার্ত ও দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে র্যাব-১৩।
শীতবস্ত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাবের রংপুরের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, র্যাব-১৩ এর সব কর্মকর্তা, জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি. আর. সারোয়ার, জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম ও পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু প্রমুখ।
শীতবস্ত্র পেয়ে জাহাঙ্গীর মিয়া নামের এক বৃদ্ধ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়দিন ধরি খুব ঠান্ডা। এ বছর গরম কাপড়ও তেমন কিনতে পারি নাই, রাতে ঠান্ডাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে গিয়েও একটা কম্বল পাই নাই। আজকে র্যাব কম্বল দিল, এতে করি আমার খুব উপকার হইল। এখন এই কম্বল শরীরে জড়িয়ে রাতে ঘুমাব তাতে শীত কম লাগবে। আল্লাহ তাদের ভালো করুক।
ছকিনা বেওয়া নামে এক বৃদ্ধা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কতজনের কাছে গেছি কেউ একটা কম্বল দেই নাই। আজকে র্যাব ডাকে আনি একটা কম্বল দিল খুব ভালো লাগলো। এলা শীতটা এই কম্বল দিয়া ভালোভাবে কাটবে।’
র্যাব-১৩ রংপুরের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে র্যাব-১৩ সর্বদা আন্তরিক। কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। এজন্য অসহায় দুস্থ শীতার্ত মানুষগুলোর শীতের কষ্ট নিবারণে এটি আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
শরিফুল ইসলাম/এএএ