চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে দুর্ভোগ

দেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েক দিন থেকে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। শীতের এই তীব্রতা শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং গতকাল বুধবার ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ট্রলিচালক তাহির ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে শীতের জন্য বের হতে পারি না। এ ছাড়া সব কিছুর দাম বেশি। সব মিলিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে আছি।
ধোবড়া আনক উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলে, আমাদের এলাকায় প্রচণ্ড শীতের কারণে স্কুলে যেতে অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া গাড়ি বেশি না চলায় স্কুলে যেতেও দেরি হয়। শীতের কারণে ভালোভাবে পড়াশোনাও হচ্ছে না।

শীতের পোষাক কিনতে আসা মাইনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মার্কেটে শীতের পোশাকের দাম অনেক বেশি। মার্কেটে গিয়ে আমরা কাপড় কিনতে পারছি না। তাই ভ্যান থেকে অল্প দামে কাপড় কিনে পরছি, আমাদের ভালো লাগছে।
ভ্যানে শীতের কাপড় বিক্রি করা সালাউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অনেক দিন থেকেই ভ্যানে করে কাপড়ের ব্যবসা করি। এবার কাপড়ের দামও অনেক বেশি।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের শ্রমিক সেলিম রেজা বলেন, শীতে কাজ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। কবে যে এই শীত যাবে বলতে পারছি না। সরকারের কাছে আবেদন এই স্থলবন্দরের শ্রমিকদের প্রতি সুনজর দিলে শ্রমিকরা ভালো থাকতে পারবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত চার থেকে পাঁচ দিন ধরে খুব শীত পড়ছে। তবে শীতের মধ্যেও আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। ভারত থেকে গাড়ি ঢুকছে, শ্রমিকরা আনলোড করছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা কাজ করছে এবং কাস্টমস অফিসাররা যথারীতি অফিস করছে।
এমজেইউ