মেঘনায় ধরা পড়ল ২২ কেজির কোরাল, ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ছুট্টি মাঝি নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। পরে মাছটি ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারের কেফায়েত মৎস্য আড়তে মাছটি নিলামে বিক্রি করা হয়।
জানা গেছে, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ছুট্টি মাঝি নামে এক জেলে মেঘনা নদীতে রোববার দুপুরে জাল ফেলেন। এ সময় জালে বিশাল আকৃতির কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। পরে সন্ধ্যায় উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারের কেফায়েত মৎস্য আড়তে নিয়ে আসলে মিম সুপার শপের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন ২৬ হাজার টাকায় কিনে নেন।
কেফায়েত মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. কেফায়েত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলে ছুট্টি মাঝি আমাদের আড়তে ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ নিয়ে আসেন। নিলামে মিম সুপার শপের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন ২৬ হাজার টাকায় কোরাল মাছটি কিনে নেন। এখানে প্রায় সময় ১৭ থেকে ১৮ কেজির ওপরে কোরাল মাছ পাওয়া যায়। তবে এ বছরে প্রথম এত বড় কোরাল পাওয়া গেল।

মিম সুপার শপের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খুব কম এত বিশাল কোরাল পেয়েছি। পর্যটকরা বারবিকিউ করতে বড় কোরাল পছন্দ করেন। কিছুক্ষণ পর সুপার শপ থেকে এক পর্যটক ৩১ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন মেঘনা নদী বেষ্টিত। এখানের জেলেরা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রায় বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদী ও সাগরে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মেঘনায় বড় বড় পাঙাশ ও কোরাল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশা করছি সামনে জেলেরা বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন।
হাসিব আল আমিন/এএএ