অবশেষে নওগাঁয় মাধ্যমিক স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত

উত্তরের জেলা নওগাঁয় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। যা চলতি মৌসুমে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে আজ বিকেলেই জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের সব স্কুল দ্বিতীয় দিনের মতো ছুটি ঘোষণা হয়।
প্রাথমিকের এ সিদ্ধান্তের সাথে শুরুতে একমত না থাকলেও অবশেষে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করেন জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক নাজমুল হোসাইন।
এ বিষয়ে কথা বলতে নওগাঁ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি। মোবাইলে মেসেজ পাঠালেও রিপ্লাই দেননি।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্যানুযায়ী আগামী তিন দিন নওগাঁয় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা নেই। তাই নতুন করে ছুটি বৃদ্ধি করার সুযোগ নেই। কেউ সকাল ১০টার দিকের তাপমাত্রার ফলাফল এনে দিতে পারলে তবেই তিনি ছুটির সিদ্ধান্ত নেবেন।
যদিও আজ বিকেলেই কনকনে ঠান্ডার পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। সব মিলিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৩৭৪টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় দিনের মতো পাঠদান বন্ধ থাকবে। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেরিতে আসায় ভোগান্তিতে পড়বে শিক্ষার্থীরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক ঢাকা পোস্টকে জানান, গতকাল রোববার (২১ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা কমে গিয়ে আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরমান হোসেন রুমন/আরএআর