চুয়াডাঙ্গায় আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ব্যাহত জনজীবন

চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষরা। জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে জেলার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ১০ দিনে সদর হাসপাতালে শিশু, বৃদ্ধসহ প্রায় চার হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে কৃষকদের বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় বিশেষভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে চারা রাতের বেলা ঢেকে দেওয়া, বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুভাস চন্দ্র সাহা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইটঘাট গ্রামের কাশের আলি বলেন, সকাল থেকে ফেরি করে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস-মুরগি বিক্রি করি। তীব্র শীতের কারণে বাইরে মানুষ কম বের হচ্ছেন। তাই বিক্রি কমে গেছে।

কৃষকরা জানান, শীত থাকলেও ভোর থেকেই খেতে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। তীব্র শীতে মাঠে কাজ করতে খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। তবুও জীবিকার অন্বেষণে তাদের কাজ করতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামীকাল তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আফজালুল হক/এএএ