ইজতেমায় মৌসুমি হোটেল-রেস্টুরেন্ট, মান নিয়ে প্রশ্ন মুসল্লিদের

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর থেকে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লাখ লাখ মুসল্লি। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে ইজতেমা ময়দান।
তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে বসেছে মৌসুমি হোটেল-রেস্টুরেন্ট। এসব হোটেল-রেস্টুরেন্টে বিক্রিও হচ্ছে ভালো। তবে মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুসল্লিরা।
ইজতেমা শুরুর আগেই তাবলিগ জামাতের সাথী হয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের জামাতে খাবার রান্না করা হয়। সেখানেই খাবার খাই। তবে সাথী নিয়ে বাইরে এলে আমরা হোটেলের খাবার কিনে খাই।
অপর মুসল্লি হাদিউল ইসলাম বলেন, সারা বছর যারা খাবারের ব্যবসা করেন তাদের পাশাপাশি ইজতেমা কেন্দ্রিক মৌসুমী ব্যসায়ীরা খাবারের ব্যবসা শুরু করেন। তাদের খুব বেশি অভিজ্ঞতা থাকে না, তারা শুধু ইজতেমা কেন্দ্রিক ব্যবসা করার জন্যই আসেন। তাই তাদের খাবারের মান খুব একটা ভালো হয় না। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে মুসল্লিরা এসব খাবার কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন।

টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় ইজতেমা কেন্দ্র করে বিরিয়ানি বিক্রি করছে হাজী বিরিযানি হাউজ। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন জানান, তিন দিন আগে থেকে তাদের এই বিরিয়ানির দোকান চালু হয়েছে। আজকে দুপুর পর্যন্ত যা বিক্রি হয়েছে তা গতকালের বিক্রিকে ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই বিক্রি বাড়ছে।
একটি দোকান দৈনিক হারে ভাড়া নিয়ে পরোটা, সবজি ও ডিম ভাজি বিক্রি করছেন ইব্রাহিম মিয়া। তিনি জানান, গত দুদিনের চাইতে আজ বিক্রি অনেক বেড়েছে, আগামী তিন দিন বিক্রি আরও বাড়বে। তবে খাবারের মান নিয়ে কোনো ধরনের আপস তিনি করছেন না বলে জানান।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চারদিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। ১ম পর্বে অংশ নিতে এখন মাঠে আসছেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।
আয়োজকরা বলছেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এখানে। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের এ জুমায় ইমামতি করবেন। বৃহত্তম জুমার এই নামাজে অংশ নিতে প্রতি ইজতেমায় তাবলিগের মুসল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে আগের রাতেই ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন অনেক মুসল্লি।
শিহাব খান/আরএআর