ধানের গোলায় আগুন, মামলা করে বিপাকে বাদী

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের ব্রিজের উপরে ছয় একর জমির ধানের গোলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন বাদী কৃষক শহিদুল ইসলাম। আসামিরা বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। রবি মৌসুমে কৃষিতে ক্ষতিসাধন করে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলে বাদীর অভিযোগ করেন।
মামলায় সূত্রে জানা গেছে, প্রান্তিক কৃষক হিসেবে মো. শহিদুল ইসলামের নিজের চাষাবাদের জমি নেই। তাই নগদ টাকায় বার্ষিক চুক্তিতে ছয় একর জমিতে আমন আবাদ করেছিলেন। ধান পাকলে শ্রমিক নিয়ে কেটে শুক্তাগড় এলাকার একটি ব্রিজের উপরে ধান মাড়াইয়ের অপেক্ষায় স্তুপ করে রাখা হয়। আগে থেকেই স্থানীয় করেকজন তার ধান ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দেয়। এজন্য তাকে ধানের স্তুপে নিয়মিত পাহারা দিতে হতো। গত ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় পাহারা ছেড়ে বাড়িতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে সেই সুযোগে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওৎ পেতে থাকা হালিম, মনিরসহ আরও ২/৩ জন ধানের স্তুপে অগ্নিসংযোগ করে। আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টার ফাঁকে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরাও ছুটে এলে তাদের পালিয়ে যেতে দেখে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ২শ মণ ধান পুড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় গত ২৬ জানুয়ারি রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, আসামিরা সাকরাইল হাটে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। ধান পোড়ার ঘটনায় থানায় মামলা দিলেও পুলিশ আসামিদের আটক করেনি। আমি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে রবি মৌসুমে কৃষি আবাদ করেছি। তাতেও নাশকতা করে আমাকে সর্বশান্ত বানিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত করছি।
হুমকির ব্যপারে আসামি মনিরের নাম্বারে একাধিক বার কলদিলেও বন্ধ পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমান বলেন, মামলায় আসামিরা জামিনে আছে। বাদীকে হুমকি দিলে তিনি আইনি সহয়তা নিতে পারেন। এরপর তদন্ত করে পরবর্তী আইনিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাঈম/আরকে