পঞ্চগড়ে এখনও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

পঞ্চগড়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। দিনের সূর্যের রোদে স্বস্তি ফিরেছে উত্তরের জনজীবনে। কর্মচঞ্চল্যতা বেড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীদের। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দুই দিন ধরে এ জেলায় ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
স্থানীয়রা জানায়, জানুয়ারি মাসের যে শীতের তীব্রতা ছিল তা কমে গেছে এই কয়েকদিনে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হলেও সূর্য) উঠে যাওয়ায় স্বস্তি মিলেছে। কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। একই কথা জানান গ্রামীণ নারীরাও।
তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। শীত দুর্ভোগের কারণে কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ওষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কুয়াশা নেই। সকালেই সূর্যের দেখা মিলেছে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। মাঘ মাস পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে বলে জানান তিনি।
এসকে দোয়েল/আরকে