ইউপি নির্বাচনে ভোট কারচুপি, পুনর্গণনায় পরাজিত প্রার্থীর জয়

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুই বছর পর আদালতে ভোট পুনর্গণনায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুজ্জামান খলিফা। রোববার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক হাসিবুল হাসান এ রায় দেন।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিজয়ী আসাদুজ্জামান খলিফার আইনজীবী আজাদ রহমান।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন মামুন পাইক, আসাদুজ্জামান খলিফা ও লাল মিয়া পাইক।

ওই ওয়ার্ডের বিএইচপি অ্যাকাডেমি কেন্দ্রে ভোট শেষে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ফুটবল মার্কার প্রার্থী আসাদুজ্জামান খলিফা ১১৮৯, আপেল মার্কার প্রার্থী লাল মিয়া পাইক ১ ভোট ও মোরগ মার্কার প্রার্থী মামুন পাইক ১২৮০ ভোটের ফলাফল দেখিয়ে মামুন পাইককে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

ঘোষিত এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি বিধি মোতাবেক আদালতে পুনর্গণনার আবেদন করেন পরাজিত প্রার্থী আসাদুজ্জামান খলিফা।

মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান জানান, আদালতের ভোট পুনর্গণনায় আসাদুজ্জামান খলিফা ১১৭২ ভোট ও মামুন পাইক ১১৩৫ ভোট পায়। শেষে আসাদুজ্জামান খলিফাকে ইউপি সদস্য হিসেবে বিজয়ী ঘোষণার রায় দেন আদালত। ভোট গণনার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী মামুন পাইক ও আসাদুজ্জামান খলিফা।

আসাদুজ্জামান খলিফা বলেন, নির্বাচনে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রার্থী মামুন পাইক ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানকে প্রভাবিত করে আমাকে পরাজিত করেছিল। আমি বিজয়ী হওয়ার পরেও ২ বছর ২ মাস ২২ দিন পর আদালতের ভোট পুনর্গণনার জনগণের রায় সফল হয়েছে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএএ