ট্রান্সফরমার চুরি, বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কায় পলাশবাড়ীর কৃষক

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুটি সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় অন্তত শত বিঘা জমির বোরো ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এ ঘটনায় পলাশবাড়ি থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও ট্রান্সফরমার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, পলাশবাড়ি উপজেলা মহদীপুর ইউনিয়নের বোরো ধানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কিছু জমিতে ইতোমধ্যে চারা রোপণ করা হয়েছে। বীজতলা প্রস্তুত হলেও সেচ দিতে না পাড়ায় বিপদে পড়েছেন শতাধিক কৃষক।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গড়েয়া পাথারে ২টি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার চারদিন পার হলেও ট্রান্সফরমারের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় গড়েয়া গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। কয়েক দফায় জমিতে পানি দিয়েছি। হঠাৎ করে সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় জমিতে পানি দেওয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি। চারদিন হলো জমিতে পানি নেই। দু-একদিনের মধ্যে জমিতে পানি না দিলে চারা মরে যাবে।
পার্বতীপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান জানান, রাতে জমিতে পানি সেচ দিয়ে মেশিন ঘরেই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মেশিন চালু না হওয়ায় ভাবেন বিদ্যুৎ নাই। পরবর্তীতে ফাঁকা জমিতে পরপর দুটি ট্রান্সমিটারের পরিত্যক্ত অংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কৃষকরা। তখন বুঝতে পারেন রাতের আঁধারে কে বা কারা সেচপাম্প মেশিনের ট্রান্সমিটার চুরি করে নিয়ে গেছে।
গড়েয়া গ্রামের কাজেম উদ্দীন বলেন, ইতোমধ্যে ৫০ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। চারদিন হলো জমিতে পানি নেই। দুই দিনের মধ্যে পানি সরবরাহ করতে না পারলে রোপণ করা চারাগুলো মারা যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে দ্রুত পানি সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাচে দাবি জানাই।
পলাশবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকসেদ চৌধুরী বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি জানতে পেরেছি। ইতোমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা দ্রুত সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ মৌসুমে জমিতে পানি অত্যন্ত প্রয়োজন। কৃষকদের জমিতে পানি সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রিপন আকন্দ/এএএ