সুদের টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় হত্যা করা হয় মহাসিনকে

যশোর শহরের নুরপুরে মহাসিন মন্ডলকে (৪২) হত্যার ঘটনায় মেহেদী হাসান লিখন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। মহাসিন সুদের টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে লিখন আদালতে এ হত্যার বিষয়টি শিকার করে জবানবন্দি দেন। আদালত জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার বালিয়াডাঙ্গা মানদিয়া জামে মসজিদের পেছন থেকে মহাসিনের আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মহাসিন নুরপুর গ্রামের মছি মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মেহেদী হাসান লিখন সুদে টাকা নিয়েছিলেন মহাসিনের কাছ থেকে। এরপর চড়া সুদের সেই টাকা সময়মতো দিতে না পারায় তাকে গালিগালাজ করেন মহাসিন। সেই ঘটনার জেরে অফিসের মধ্যেই ল্যাপটপের পাওয়ার ক্যাবল দিয়ে মহাসিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন লিখন। এরপর মরদেহ একটি বাক্সে ভরেন। সেই বাক্স নুরপুর থেকে প্রথমে ইজিবাইকে ও পরে ভ্যানে নিয়ে যান ফতেপুরের মান্দিয়া গ্রামে। যাওয়ার পথে তেলপাম্প থেকে ডিজেল কিনেন। এরপর পুড়িয়ে দেন মহাসিনের মরদেহ। ডিবির জালে আটকের পর এভাবেই হত্যার বর্ণনা দেন মেহেদী হাসান লিখন। তিনি নুরপুরের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাকে আটকের পর উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ট্যাংক বাক্স, মহাসিনের মোবাইল ফোন ও জুতা। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন মহাসিনের ভাই কোরবান আলী।
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার বলেন, আটক লিখন ওই এলাকায় ঈগল হাই ফোর্স অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি পরিচালনা করেন। এ ব্যবসার কাজে চড়া সুদে মহাসিনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন লিখন। প্রতি সপ্তাহে তাকে ৩০ হাজার টাকা লাভ দিতে হতো।
এ্যান্টনি দাস অপু/এএএ