বন্ধুদের সঙ্গে রাত্রিযাপন, বিষক্রিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠানে বন্ধুদের সঙ্গে রাত্রিযাপনের পর অসুস্থ হয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জে শিহাব হাসান সৈকত (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, বিষক্রিয়ার কারণে ওই পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে শিহাব মারা যায়। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। এর আগে রোববার সকালে তাকে ভর্তি করা হয়।
শিহাব শিবগঞ্জের মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ২০২৪ সালের শিক্ষার্থী এবং উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের সেলিম প্রামাণিকের বড় ছেলে।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ছিলিমপুর মেডিকেল ফাড়ির টিএএসআই লালন হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব ও তার সহপাঠীরা মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য শুক্রবার রাতে বিদ্যালয়ে যায়। শিহাব ও তার সহপাঠীরা শনিবারের বিদায় অনুষ্ঠানের কাজ শেষে মহাস্থানে তাদের বন্ধুর বাড়িতে রাত কাটায়।
শনিবার সকালে সিহাব অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সহপাঠীরা মহাস্থানে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নেয় ও তার বাবা-মাকে ফোন করে আসতে বলে। ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করতে থাকে। এতে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। একপর্যায়ে রোববার সকালে তাকে অচেতন অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে শিহাব মারা যায়।
শিহাবের মা ছামছুন্নাহার বলেন, আমার ছেলে শুক্রবার রাতে মহাস্থানে রাত্রী যাপন করেছে। হয়ত সে কিছু খেয়েছিল। আমার ছেলে আমাকে বার বার বলেছে আমাকে বাতাস লেগেছে। আমার ছেলের মৃত্যু নিয়ে কারও প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার কোনো শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ে ছিল না। শিহাবের মৃত্যুর সংবাদ আমি শুনেছি। কাজে ব্যস্ত থাকায় তাকে দেখতে যেতে পারিনি।
হাসপাতালের বরাত দিয়ে টিএএসআই লালন হোসেন বলেন, শিহাবের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিষক্রিয়া পেয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে কি ধরনের বিষক্রিয়া তা এখন বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তার মরদেহ শজিমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এএএ