কুয়াকাটায় ফাঁকা নেই হোটেল, স্থানীয়দের বাসায় থাকছেন পর্যটকরা
বসন্ত উদযাপন ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে পর্যটকে টইটম্বুর কুয়াকাটা সৈকত। প্রতিটি দর্শনীয় স্থান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে পর্যটকদের আগমনে। কিন্তু হোটেল বুকিং না দিয়ে যারা কুয়াকাটায় এসেছেন তারা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। রুম না পাওয়া পর্যটকরা স্থানীয়দের বাসা-বাড়িতে অবস্থান নিচ্ছেন। স্থানীয়রাও সাদরে গ্রহণ করছেন তাদের। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পর্যটকদের আগমনে প্রাণ ফিরে পেয়েছে কুয়াকাটা সৈকত। আগে থেকে বুকিং নেওয়া পর্যটকরা উঠেছেন তাদের পছন্দের হোটেল-রিসোর্টগুলোতে। কিন্তু বুকিং না দিয়ে আসা পর্যটকরা কুয়াকাটায় এসে রুম না পেয়ে পড়েছেন হতাশায়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন যারা পরিবারের ছোটো-বড় বাচ্চাসহ এসেছেন। তবে অনেকেই জায়গা করে নিচ্ছেন স্থানীয় বাসা-বাড়িতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে থেকেই নামীদামি তারকা হোটেলগুলোর রুম বুকিং শেষ হয়ে গেছে। মাঝারি হোটেলগুলোসহ সাধারণ হোটেলগুলোতেও এখন কোনো রুম খালি নেই। বেশি পর্যটক আগমনের সুযোগে কিছু কিছু হোটেল রেস্টুরেন্ট পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া ও টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।
পাবনা থেকে আসা সূর্যমুখী সমবায় সমিতি সংগঠনের ৪০ জন কুয়াকাটায় এসে হোটেলে রুম না পেয়ে পাশাপাশি চারটি বাড়িতে ভাগ হয়ে উঠেছেন। হোটেলের মতো দামাদামি করেই নিয়েছেন বাসা ভাড়া। বাসা-বাড়িতে জায়গা পাওয়ায় সন্তুষ্ট তারা সবাই।
খুলনা থেকে বাইক নিয়ে আসা ছয় বন্ধু কুয়াকাটার কোনো হোটেলে রুম না পেয়ে উঠেছেন কুয়াকাটা পৌরসভার চার নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহরাব হোসেনের বাসায়। ছয় বন্ধু মিলে তার বাসার একটি রুম এক রাতের জন্য ১৫০০ টাকায় নিয়েছেন। তারা বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পর এই বাসায় রুমটা পেলাম।
বাসা মালিক সোহরাব হোসেন বলেন, কুয়াকাটায় বিভিন্ন ছুটির দিনগুলোতে এই রকম চাপ হয়। তখন পর্যটকরা বাসা-বাড়িতে থাকতে চায়। আসলে এক রাতের জন্য ভাড়া দিয়ে আমরাও কিছু টাকা পাই আবার তাদেরও থাকার জায়গা হলো। আসলে এখানে টাকা-পয়টা মুখ্য বিষয় নয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষদের একটু সহযোগিতা করতে পারছি এটাই অনেক।
ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু বলেন, হঠাৎ রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আসায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবাই হিমশিম খেয়ে গেছে। তবে পর্যটকরা হোটেলগুলোতে রুম না পেলেও স্থানীয়দের সহযোগিতায় অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
এসএম আলমাস/আরএআর