সেই নূরে আলমকে চুরির অপবাদে নির্যাতন : অভিমানে আত্মহত্যা
নূরে আলম । লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ২৫ বছর বয়সী এই যুবকের উচ্চতা ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি। তাকে বলা হতো জেলার সবচেয়ে বেশি উচ্চতার মানুষ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মারধর করা হয়। এ অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
রোববার দুপুরে উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশ্বর দুল্লার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নূরে আলম ওই এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে। স্থানীয়রা তাকে লারকা নামেই চেনেন। তিনি স্থানীয় বাজারে নরসুন্দরের কাজ করতেন। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার উপজেলার কাকিনা বাজারে সেলুনের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির পাশে দুল্লার বাজারে একটি মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন নূরে আলম। পরে ৩০ মিনিটের মতো সেখানে অপেক্ষা করে কাউকে দেখতে না পেয়ে সেই মোটরসাইকেলটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর রোববার সকালে গাড়ির মালিক আসাদুল মোটরসাইকেলটি নিতে তার বাসায় যান এবং তাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দেন। পরে কৌশলে তাকে দুল্লার বাজার ক্লিনিকের সামনে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং তাকে দেওয়া সেই ৫ হাজার টাকা কেড়ে নেন। এ ঘটনার জেরে রাগে-অভিমানে নূরে আলম বাজার থেকে বিষ কিনে বাসায় গিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নূরে আলমের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী রাতে বাজারে মোটরসাইকেল পেয়ে বাড়ির সামনে এনে রেখেছিলেন। সে মোটরসাইকেল চালাতেও পারে না। আজ সকালে তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে চুরির অপবাদে মারধর করে আসাদুল। সেই অভিমানে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর বলেন, স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি শোনার পরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এএএ