বসতঘর পুড়ে ছাই, ঘুম ভেঙে যাওয়ায় সন্তানসহ প্রাণে রক্ষা পেলেন মা
লক্ষ্মীপুরে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে মনির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর বসতঘর ও দুটি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য টুমচর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত মনির পেশায় ডিম ব্যবসায়ী।
জানা যায়, হঠাৎ চোখ খুলে আগুন দেখতে পেয়ে ঘুমন্ত সন্তানদের জাগিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণে বাঁচেন মনিরের স্ত্রী মাইনুল বেগম। তবে ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্রসহ ২ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। সব পুড়ে পরিবার নিয়ে মনির এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।
মনির ও তার স্ত্রী মাইনুল বলেন, প্রতিদিনের মতোই এশার নামাজের পর মাইনুল তার সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘণ্টা খানিক পর তার চোখ খুলে দেখি ঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তখনও সন্তানরা ঘুমিয়ে ছিল। তাৎক্ষণিক সন্তানদেরকে ঘুম থেকে উঠিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণে বাঁচি। বসতঘরটি আগুনে জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর মধ্যেই ঘরসহ আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়।
মনির হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি লক্ষ্মীপুর বাজারে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি ঘরসহ আমার সবকিছু পুড়ে মাটিতে মিশে গেছে। শুধু সিমেন্টের খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। আমার সব শেষ।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে একটি বসতঘর, দুটি রান্না ঘর, একটি মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা পুড়ে গেছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে
