নাটোরে ৪৫০ টাকা করে পাবে এক লাখ ২০ হাজার পরিবার

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নাটোরে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৩২ পরিবার এবার ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ৪৫০ টাকা করে পাবেন। এজন্য ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
নাটোর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রতিবছর অসহায় ও দুস্থ মানুষদের ১০ কেজি করে চাল দিয়ে আসছিল সরকার। কিন্তু এবার সেই চালের পরিবর্তে ৪৫০ টাকা করে পাবেন উপকারভোগীরা।
ইতোমধ্যে নাটোর জেলা প্রশাসক বরাবর ১ লাখ ২০ হাজার ৮৩২টি কার্ডের বিপরীতে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দগুলো ইতোমধ্যে জেলার ৫২টি ইউনিয়ন এবং ৮টি পৌরসভায় বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, নাটোর সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ১৯৮টি কার্ডের বিপরীতে ৭৭ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, সিংড়া উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৮৯টি কার্ডের বিপরীতে ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ৫০ টাকা, গুরুদাসপুরে ১২ হাজার ২৫২টি কার্ডের বিপরীতে ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ টাকা, বড়াইগ্রাম উপজেলায় ১৪ হাজার ৪২২ কার্ডের বিপরীতে ৬৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা, লালপুরে ১৩ হাজার ৮৭৪ কার্ডের বিপরীতে ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ টাকা, বাগাতিপাড়ায় ৯ হাজার ৪৭৭ কার্ডের বিপরীতে ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫০ টাকা এবং নলডাঙ্গা উপজেলায় ৫ হাজার ৯৯৪ কার্ডের বিপরীতে ২৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলার ৮টি পৌরসভার মধ্যে নাটোর সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৬২১ কার্ডের বিপরীতে ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা, সিংড়া পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ কার্ডের বিপরীতে ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা, গুরুদাসপুর পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ কার্ডের বিপরীতে ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা, বনপাড়া পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ কার্ডের বিপরীতে ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা, বড়াইগ্রাম পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১ কার্ডের বিপরীতে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫০ টাকা, গোপালপুর পৌরসভায় ১ হাজার ৫৪০ কার্ডের বিপরীতে ৬ লাখ ৯৩ হাজার, বাগাতিপাড়া পৌরসভায় গোপালপুর পৌরসভায় ১ হাজার ৫৪০ কার্ডের বিপরীতে ৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা এবং নলডাঙ্গায় ৩ হাজার ৮১ কার্ডের বিপরীতে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫০ টাকা।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ ঢাকা পোস্টকে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রতি বছর অসহায় ও দুস্থ মানুষদের ১০ কেজি করে চাল দিয়ে আসছিল সরকার। কিন্তু এবার সেই চালের পরিবর্তে ৪৫০ টাকা করে পাবেন উপকারভোগীরা। ইতোমধ্যে বরাদ্দগুলো উপজেলা এবং পৌরসভার অনুকূলে বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে।
তাপস কুমার/এমএএস