১০৯টি হারানো মোবাইল ফিরে পেলেন মালিকরা

রাজবাড়ীতে বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া ১০৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা পুলিশ। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মালিকদের কাছে মোবাইলগুলো হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীর পাঁচটি থানায় প্রতিদিন মোবাইল হারানোর বিষয়ে জিডি করা হয়। জিডি নিয়ে নিয়মিত কাজ করে জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম। রাজবাড়ী সদর থানায় ৪৮টি, গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ১৬টি, পাংশা মডেল থানায় ৪টি, কালুখালী থানায় ২৫টি ও বালিয়াকান্দি থানায় ১৬টি জিডির প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল উক্ত হারানো ও চুরি হওয়া ১০৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এ সময় পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ী জেলা একটি ছোট্ট জেলা এ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ঠ ভালো। এছাড়াও প্রান্তিক মানুষের মোবাইলগুলো উদ্ধারের যে কাজটি আমরা করি, এটি আমরা খুব আবেগ দিয়ে করি, আমরা খুব মন দিয়ে কাজটি করি। কারণ হচ্ছে মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার পর তার ভেতরে যে মানসিক কষ্টটা, সেই কষ্টটা আমরা অনেক কষ্ট করে মোবাইল উদ্ধার করে যখন তার হাতে তুলে দিতে পারি, তখন তার মুখের হাসি আমাদেরকে সত্যিকার অর্থে আরও কাজে অনুপ্রাণীত করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই কাজটি সব সময় করে যাব। আর জেলার বিভিন্ন থানায় প্রতিনিয়তই মোবাইল হারানোর জিডি হয়। সেই জিডিগুলোর প্রেক্ষিতে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের একটি চৌকস টিম মোবাইলগুলো উদ্ধার
করে।

হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে মো. উজ্জ্বল সরদার বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে আমার ফোনটি হারিয়ে যায়। পরে থানায় মোবাইল হারানো সংক্রান্ত একটি জিডি করি। জিডির সূত্র ধরে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ আমার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে আজ আমার কাছে হস্তান্তর করেছে। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগছে। মোবাইল কম দামি হোক বা বেশি দামি হোক সেটা বিষয় না, হারানো জিনিস ফিরে পেলাম এটাই বড় বিষয়। জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ।
হারানো মোবাইল ফিরে পেয়ে মো. শাহিন শেখ বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা মোবাইল ব্যবহার করি জরুরি কাজে ব্যবহারের জন্য। ৬ মাস আগে মোবাইলটি হারিয়ে যায়। এরপর থানায় জিডি করেছিলাম। ইতোমধ্যে গত মাসে নতুন একটি মোবাইল কেনার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের জেলা পুলিশ অনেক সচেতন। আমার আশা ছিল আমি মোবাইলটা ফিরে পাব। আজ মোবাইলটি আমি ফেরত পেলাম। আমার খুবই আনন্দ লাগছে।
এ সময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকারসহ জেলা পুলশিরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরএআর