রাঙামাটির আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার

বান্দরবানে পরপর দুই দিন ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ব্যাংকগুলোতেও। ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশসহ ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে ব্যাংকগুলো।
জেলা সদরে আতঙ্কের পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর ব্যাংক কর্মকর্তারা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোনালী ব্যাংক রাঙামাটি প্রিন্সিপাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন, বান্দরবানের ব্যাংক লুটপাট ও অপহরণের মতো ঘটনা সত্যিই আমাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। রাঙামাটি সদরে খুব বেশি সমস্যা না থাকলেও রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, বরকল উপজেলাগুলো নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। গত রাতে জেলার পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রতিটি শাখায় পুলিশি পাহারা বৃদ্ধি করেছি। তারপরও একটা চাপা আতঙ্ক থাকছে।
সোনালী ব্যাংক রাঙামাটি প্রিন্সিপাল অফিসের সহকারী অফিসার (ক্যাশ) অমিতাভ বড়ুয়া বলেন, বান্দরবানের ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। যদিও আমরা এখানে সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান রেখেছি, তারপরও একটা ভয় তো কাজ করেই।
ব্যাংকের গ্রাহক দ্বীপায়ন চাকমা বলেন, বান্দরবানের ঘটনা আমরা শুনেছি। তবে রাঙামাটিতে এর কোনো প্রভাব চোখে পড়ছে না। সপ্তাহের শেষ দিনে ব্যাংকে প্রচুর ভিড় আছে। তবে দুর্গম অনেক উপজেলার ব্যাংকগুলো ঝুঁকিতে থাকতে পারে। প্রশাসনের উচিত ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা৷
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, বান্দরবানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আমরা রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করছি, রাঙামাটিতে এই ধরনের কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।
মিশু মল্লিক/এসকেডি