চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের সেমাই
ঈদ আসলে বাজারে চাহিদা বাড়ে সেমাইয়ের। আর চাহিদার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় তৈরি করেন নিম্ন মানের খোলা সেমাই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবস্থিত তানভির ফুডস নামে সেমাই কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, কারখানার বাইরে প্রতিষ্ঠানটির নামে কোনো ব্যানার নেই। ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পাম তেল। বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তত করা অধিকাংশ সেমাইতে মাছি পড়ে আছে। নেই মোড়ক জাত করার কোনো ব্যবস্থা। শ্রমিকদের শরীরের ঘাম ঝরে পড়ছে সেমাইয়ের ওপর।
গত সপ্তাহেও তানভির ফুডস এর স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলামকে নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির অপরাধে জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তানভির ফুডস এর কারিগর নয়ন এর কাছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছিল। তবে সেদিন আমি কারখানায় ছিলাম না। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
কারখানায় কর্মরত এক নারী কর্মী বলেন, হ্যান্ড গ্লাভস সবসময় পড়তে পারি না। হাত ঘেমে যায়। তাই মাঝে মাঝে খুলে রেখে কাজ করি। আমাদের হাত সব সময় পরিষ্কার থাকে।
তানভির ফুডস এর এডিএম মাহফুজ ইসলাম তানভির বলেন, গত সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছিল আমাদের কারখানায়। তারা আমাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে। আমি মনে করি, কেমিকেল ব্যবহার করার কারণে তারা জরিমানা করেছিল।
প্যাকেটজাত করার বিষয়ে মাহফুজ বলেন, আমরা বাড়িতে নিয়ে প্যাকেটজাত করি। আমাদের প্রোডাক্ট উৎপাদন করার সময় উৎপাদন ও ডেট ওভার হওয়ার তারিখ দেই।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদেরকে আমরা নিয়ম মেনে কাজ করতে বলি। কিন্তু তাদের ওপর তো চাপ দিতে পারি না। শ্রম আইন বলে একটা কথা আছে। শ্রম আইন সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকলে আপনি বিষয়টি বুঝতে পারতেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. তাছমিনা খাতুন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত নই। খোঁজ নিয়ে দেখব।
মো. আশিক আলী/এএএ