ঈশ্বরগঞ্জে একই স্থানে দুই পক্ষের বৈশাখী মেলা ঘিরে উত্তেজনা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একই স্থানে দুই পক্ষের বৈশাখী মেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে মেলা বন্ধে লিখিত আবেদন করেছেন তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তবে একটি পক্ষ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানলেও অপর একটি পক্ষ প্রচারণা অব্যাহত রাখায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গত ২ এপ্রিল তারুন্দিয়া বাজার সংলগ্ন স্কুল মাঠে দুই দিনব্যাপী (১৫ এবং ১৬ এপ্রিল) বৈশাখী মেলা আয়োজন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মঞ্জুরুল হক। একই স্থানে মেলা আয়োজন করার জন্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার বরাবর আবেদন করেন তারুন্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফরিদ খান। উত্তেজনার মধ্যে মেলা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। তবে নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল মাঠে মঞ্চ তৈরি ও মাইকিং করছেন ফরিদ খান।
বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা.মঞ্জুরুল হক বলেন, আমি বৈশাখী মেলা করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করেছি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এরই মধ্যে একই স্থানে মেলা করার জন্য ফরিদ খান আবেদন করলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা আমাদের ডেকে মেলা বন্ধের নির্দেশনা দেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই সকলকে দাওয়াত করেও মেলার আয়োজন থেকে পিছিয়ে পড়েছি। কিন্তু ফরিদ খান মেলা করার পায়তারা করছেন। তিনি মেলা করলে আমিও করব, এতে যা হওয়ার হবে।
এ বিষয়ে তারুন্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফরিদ খান বলেন, বিগত ১৫ থেকে ২০দিন ধরে মেলার আয়োজন করছি। প্রধান অতিথি করা হয়েছে সংসদ সদস্যকে। ২০০ জন অতিথির উপস্থিতিতে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে। এরপর দুইদিন (১৫ ও ১৬ এপ্রিল) মেলা চলবে। আমার বিপক্ষের লোকজনের কথায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মেলা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি না জেনে এমন নির্দেশনা দেওয়ায় মেলার আয়োজন বন্ধ হবে না।
তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা বলেন, একই মাঠে দুই পক্ষের মেলা আয়োজনকে ঘিরে উত্তেজনা দেখে তা বন্ধে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। প্রশাসন মেলা বন্ধে নির্দেশনা দিলেও স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফরিদ খান মেলা ও র্যাফেল ড্র করার পায়তারা করছেন। চালাচ্ছেন মাইকিং। এতে মারামারি সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, তারুন্দিয়া স্কুল মাঠে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হবে; কিন্তু কোনো পক্ষই মেলার আয়োজন করতে পারবে না। সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয় সেই লক্ষ্যে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ছাড়া কোনো মেলা করার সুযোগ নেই।
উবায়দুল হক/এএএ