মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রার্থী

বরগুনার বেতাগী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন রীনা গাজী। রোববার (২১ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তড়িঘড়ি করেও অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি তিনি। এতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
জানা যায়, রীনা গাজী বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইউপি সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়ে সার্ভার জনিত সমস্যায় মনোনয়নপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হন। এরপর স্বাদ মিডিয়া কম্পিউটার্স নামে দোকানের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রীনা।
মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পেরে রীনা গাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আমি ছয় মাস ধরে আমার উপজেলায় কাজ করেছি। সকল কাগজপত্র ঠিক করছি কিন্তু শেষ সময়ে এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারলাম না। উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইউপি সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। নির্বাচন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আমার প্রার্থীতা পেতে অনুরোধ জানাই। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে আমার মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
স্বাদ মিডিয়া কম্পিউটার্স নামের ওই দোকানের মালিক এস আই সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, রীনা গাজীর আইডি শনাক্ত করতে সমস্যা হয়েছিল। অনলাইনে তাদের আইডি ভেরিফাইড হয়নি। এ ছাড়া একদম শেষ সময়ে আসার কারণে তাদের আবেদন সাবমিট করতে পারিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই আল হাদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রার্থীকেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে বার বার বলেছি। তবে রীনা গাজী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা করতে পারেনি। তার মনোনয়নপত্র ড্রাফট আকারে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পারায় নির্বাচনী আইন অনুযায়ী এখন আর আমাদের কিছু করার নেই।
মো. আব্দুল আলীম/এএএ