ফসলি জমির মাটি উত্তোলন, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
নোয়াখালীর চাটখিলে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির অপরাধে মো. হারুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বানসা বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ এহসান উদ্দীন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে খেয়াল-খুশিমতো অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ এহসান উদ্দীন। এ সময় মাটি কাটা ও বিক্রির অপরাধে একই ইউনিয়নের পাল্লা গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. হারুনুর রশিদকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ভবিষ্যতে এমন অপরাধের পুনরাবৃত্তি করবে না মর্মে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মুহি উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কাটার কারণে জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও মাটি পরিবহনের কারণে এলাকার রাস্তাঘাট দ্রুত নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন অভিযানেও এসব মাটি কাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় না। আমরা চাই, এসব অবৈধ মাটি কাটা ও পরিবহনে স্থায়ীভাবে বন্ধ হোক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ এহসান উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারার অপরাধে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তিনি এই কাজের পুনরাবৃত্তি করবেন না বলেও মুচলেকা প্রদান করেছেন। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় চাটখিল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমান, স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান বাহালুল ও চাটখিল থানা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
হাসিব আল আমিন/এএএ
