তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে খেলতে গিয়ে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে মো. কামরুল হাসান ফাহিম নামের সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে দুপুরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত মো. কামরুল হাসান ফাহিম সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লাকর্ক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কেরামতপুর গ্রামের জাকার আহম্মদ মাস্টারের বাড়ির ওমর ফারুকের ছেলে। সে স্থানীয় মধ্য কেরামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
কেরামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. সেকান্তর আলম বলেন, ফাহিম সকালে বিদ্যালয়ে আসে। আমাদের বিদ্যালয়ে আজ উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্বরতদের ট্রেনিং থাকায় কোনো ক্লাস না হওয়ায় সে বাড়ি চলে যায়। দুপুরে ফাহিম তাদের বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে রোদের মধ্যে খেলাধুলা করতে করতে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসক দেখালে তিনি মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রতিবেশী জয়নাল আবেদিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুটি তীব্র গরমে দৌড়াদৌড়ি করে খেলাধুলা করতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তারপর অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি পরবর্তীতে জেনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। স্বজনরা দাবি করছেন, তীব্র গরম থেকে এমন হয়েছে। আমরা হিটস্ট্রোক হওয়ার কোনো কারণ পাইনি। শিশুটি মৃগী রোগী ছিল। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য সাজেস্ট করলেও তারা সদর হাসপাতালে না নিয়ে মরদেহ দাফন করে ফেলেছে।
হাসিব আল আমিন/আরকে