স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ফারুক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবিল হক বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।
মামলায় মো. আখতার ফারুকের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ টাকা ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৯ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুইজনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেয় দুদক। পরে তারা তাদের সম্পত্তির প্রয়োজনীয় কাগজ দাখিল করেন দুদকের কাছে। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মো. আখতার ফারুকের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।
অন্যদিকে ফারুকের স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৯ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা নিজ ভোগ দখলে রাখার প্রমাণ পায় দুদক।
দুদকের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আখতার ফারুক বলেন, মামলা হওয়ার বিষয়টি আদালত বা দুদক কেউই আমাকে জানায়নি। অভিযোগ হাতে পেলে এ বিষয়ে কথা বলব।
দুদকের ঠাকুরগাঁও জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মামলা করা হয়েছে। আশা করি, তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারব।
নিজ কার্যালয় দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার প্রসঙ্গে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. সায়েদুজ্জামান বলেন, মামলা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে অফিশিয়ালি কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠিপত্র পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএএ