‘আমি শাহীনের স্ত্রী হতে চাই’
পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে এক কিশোরী (১৭) প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে উপজেলার কালাইয়া ৩নং ওয়ার্ডের ছুমির উদ্দিন হাওলাদার বাড়িতে অনশন শুরু করে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক শাহীন (২২)।
শাহীন বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডের জসিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি ইট, বালু ও সিমেন্টের ব্যবসা করেন। ওই কিশোরী কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ বছর ধরে ছুমির উদ্দিন হাওলাদার বাড়ির শাহীনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলছে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শাহীন তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে দুই মাস আগে দ্রুত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার গর্ভপাত করান শাহীন। এরপর থেকে শাহীন দূরত্ব বজায় রাখায় তার সন্দেহ তৈরি হয়। একপর্যায়ে শাহীন জানান এই মুহূর্তে তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। এ কথা শোনার পর মেয়েটি শাহীনের বাড়ি গিয়ে অনশন শুরু করে। প্রেমিকা বাড়িতে আসার পরই পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান শাহীন।
অনশনরত ওই কিশোরী বলে, শাহীনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাচ্চা নষ্ট করেছে। আমি শাহীনের স্ত্রী হতে চাই, সংসার করতে চাই। তা না হলে আমি আত্মহত্যা করব।
শাহীনের মা শাহনাজ বেগম বলেন, আজ সকালে আমার বাড়িতে এসেছে মেয়েটি । ঘটনার কিছুই আমরা জানি না। শাহীন বাড়িতে এলে তার মুখে সব জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালাইয়া ইউনিয়নের ২ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ বলেন, আমি বিষয়টি এলাকার লোকজনের কাছে থেকে শুনেছি। প্রেম সম্পর্কিত ঘটনা, কিন্তু কোনো পক্ষই আমাকে বিষয়টি জানায়নি।
কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছেলের বাবা জসিম আমার কাছে ফোন করে বলেছে তার ছেলে শাহীনের সঙ্গে এক মেয়ের সম্পর্কের কথা শুনছে। সেই মেয়ে এসে ঘরে উঠছে। শাহীন বিয়ে না করলে ওই মেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। আমি মেয়ের বাবা ও ছেলের বাবাকে পরামর্শ দিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে। এখানে আমার কিছু করার নেই।
বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফুল ইসলাম সাগর/আরএআর